১. ভালো ফন্ট ব্যবহার করুন। যেমনঃ বাংলার ক্ষেত্রে ’কালপুরুষ’ বা ’বাংলা’ বা সিয়াম রূপালি। ইংরেজীর ক্ষেত্রে আমার পছন্দ Calibri, আর Georgia.
২. কাউকে লেখার স্যাম্পল পাঠালে সেটা কখনই এডিটেবল ভার্সনে (যেমনঃ ডক ফাইল) পাঠাবেন না। পিডিএফ বানিয়ে তারপর পাঠাবেন।
পিডিএফের দুটো সুবিধা –
ক. ফন্ট ভাংবে না।
খ. আপনার লেখা কেউ চুরিও করতে পারবে না। (পিডিএফে পাসওয়ার্ড দিয়ে লেখা কপি করার পদ্ধতি বন্ধ করে রাখা যায়।)
খ. আপনার লেখা কেউ চুরিও করতে পারবে না। (পিডিএফে পাসওয়ার্ড দিয়ে লেখা কপি করার পদ্ধতি বন্ধ করে রাখা যায়।)
৩. ফরম্যাটিং এর দিকে লক্ষ্য রাখুন। যেমনঃ টাইটেল অবশ্যই বোল্ড করে দিবেন। আন্ডারলাইন করার দরকার নেই, দেখতে খ্যাত লাগে। বোল্ড করে ফন্ট সাইজ দু ঘর বাড়িয়ে দেয়াই ইনাফ। আর কোটেশনে ইটালিক ব্যবহার করুন।
৪. যথাযথ রেফারেন্স উল্লেখ করুন। আমাদের দেশের লেখকদের রেফারেন্স দেবার কোন অভ্যাস নাই বলতে গেলে। এটা পেশাদার লেখকদের ক্ষেত্রে একেবারেই ঠিক নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কিংবা কারো কোট করলে – এ ধরনের লেখার ক্ষেত্রে সেই তথ্যসূত্র উল্লেখ করার চেষ্টা করুন।
৫. প্রবন্ধের শেষে মেটা ডেটা দিতে পারেন চাইলে। যেমনঃ প্রবন্ধটি লেখার তারিখ, আপনার নাম, শব্দসংখ্যা, কপিরাইট নোটিশ, আপনার ইমেইল বা মোবাইল নম্বর – ইত্যাদি।
৬. ফাইলের যথাযথ নাম দিন। এভাবেঃ Sample Content_Proloy_Bangla_How to write a sci-fi story_512. দেখুন, এই নাম দিয়েই বোঝা যাচ্ছে কনটেন্টের টাইপ, নাম, লেখকের নাম, লেখার ভাষা আর শব্দসংখ্যা।
৭. এক ধরনের ফাইল সব জাগায় পাঠাবেন না। কনটেন্ট টাইপ আপনার গ্রাহকের চাহিদানুযায়ী বদল করুন। যেমনঃ যার লাইফ স্টাইল ম্যাগাজিনের জন্য কনটেন্ট দরকার, তাকে নিশ্চয়ই আপনি রাজনৈতিক কিংবা খেলাধুলা সংক্রান্ত আর্টিকেল পাঠাবেন না? আরেকটা বিষয় হলো, অনেকে জব সার্কুলার ভালো করে না পড়েই আবেদন করে বসেন। দেখা গেলো, চাওয়া হয়েছে বাংলা কনটেন্ট রাইটার। প্রার্থীরা সেটা খেয়ালই করলো না, তারা ইংরেজী কনটেন্ট রাইটার চাওয়া হয়েছে ভেবে ইংরেজী স্যাম্পল পাঠানো শুরু করলেন, তাহলে সেটা চাকুরীদাতাদের জন্য বিরক্তির কারণ হবে, এবং তারা ধরে নেবে আপনি একজন উদাসীন ও বেখেয়ালী মানুষ।
৮. আর গ্রামারের দিকে লক্ষ্য রাখা তো অবশ্য কর্তব্য। বানান এবং দাড়ি কমার ব্যবহার ঠিকঠাকমতো করুন। বিশেষ করে বাংলা বানান ইংরেজীর চাইতেও জটিল ও কঠিন বিষয়। আধুনিক বানানরীতি অনুসরণ করুন।
৯. প্লেজারিজম চেক করুন। লেখার কমপক্ষে ৮৫% মৌলিক হতে হবে, নতুবা অনলাইনে দিলে সেই লেখা গুগল সার্চ ইঞ্জিনই বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে পারে। লেখা ফাইনালি পাঠাবার আগে অন্তত একবার অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে প্রুফ রিড করুন।
১০. বাহুল্য ও লম্বা বাক্য বর্জন করুন। লেখার আগে ভালো করে তথ্য সংগ্রহ ও পড়াশোনা করুন। প্রবন্ধের শেষে দু লাইনের একটা নোট দিতে পারেন। লেখাটি কোথায় প্রকাশিত হয়েছে, কিংবা এখনো অপ্রকাশিত আছে কিনা। এবং অন্যান্য সংক্ষিপ্ত আনুষাঙ্গিক তথ্য।
এই কয়টি টিপস অনুসরণ করতে পারলেই আপনার লেখায় মুটামুটি পেশাদারিত্বের ছোঁয়া থাকবে বলে আশা করা যায়।
No comments:
Post a Comment